আমাদের নতুন সব কালেকশন দেখতে আমাদের ফেসবুক পেজ Tasnim Fashion লাইক দিয়ে সাথে থাকুন।ফেসবুকে প্রতিদিন নতুন কালেকশন আপডেট করা হয়।ধন্যবাদ
কিছু ঐতিহ্য সবসময়ের। যুগ যুগ ধরে রয়ে যায় তার আবেদন। এমনই একটি দেশীয় ঐতিহ্য হল মসলিন তন্তু ও মসলিনের শাড়ি। ফুটি কার্পাস নামক বিশেষ এক ধরণের তুলার আঁশ থেকে প্রস্তুত করা হত মসলিন। স্বচ্ছ সেই মসলিন নাকি চলে যেত আংটির ভেতর দিয়ে। আবার গজের পর গজ ভাজ করে রাখা যেত ম্যাচের বক্সে। সেই আদি মসলিন আজ বিলুপ্ত। প্রাচীন ঐতিহ্যকে এখনো ধরে রেখেছে আধুনিক মসলিন। এই তন্তুর কাপড় খুবই হালকা ও স্বচ্ছপ্রায়।
মসলিনের শাড়ি পরার জন্য কিছু বিশেষ নিয়ম মসলিন শাড়ি পরার আটটি চমৎকার কৌশল। যা মসলিন শাড়ি পরার ধরণকে সহজতর করতে খুব ভালো কাজে দেবে।
১. সাধারণত শাড়ি পরার জন্য পেটিকোটের যে অংশে গুঁজতে হয়, সেখান থেকে আরও একটু বেশি ভেতরের দিকে অর্থাৎ ডান দিকে গুঁজতে হবে মসলিন শাড়ি।
২. অন্যান্য কাপড়ের শাড়ির ক্ষেত্রে শাড়ির কুঁচি বেশি দেখানোর জন্য ছোট ছোট করে কুঁচি দেওয়া হয়। কিন্তু মসলিন শাড়ির ক্ষেত্রে কুঁচি দিতে হবে বড় করে। এতে করে কুঁচি বেখাপ্পাভাবে ফুলে থাকবে না।
৩. মসলিন শাড়ির আঁচলের শেষ থেকে ভাজ গোছানো শুরু করতে হবে। এ ধরণের শাড়িতে দেখা যায়, ভাজ যেখানে শুরু হলো সেখানে সুন্দর সেট হয়, কিন্তু কাঁধে পিনাপ করতে গেলে আবার খুলে বা ছড়িয়ে যায়। তাই ভাজ করে কয়েক ইঞ্চি পর পর কাপড় শুকানোর ক্লিপ দিয়ে আপাতত আটকে রাখতে হবে। এভাবে কাঁধের কাছ পর্যন্ত একইভাবে ভাজ করতে করতে আসতে হবে। এরপর শাড়ি পিনাপ করতে হবে। এরপর ক্লিপগুলো খুলে নিতে হবে।
8. কুঁচি গুছিয়ে গুঁজে নিয়ে বাকি শাড়ি ঘুরিয়ে বুকের উপর আনা হয়। এই ঘুরিয়ে আনার সময় সাধারণত বাঁকা করে পিনাপ করে তারপর শাড়িটা টানা হয়। মসলিনের ক্ষেত্রে এটা না করে সোজাসুজি গুঁজে নিলে শাড়ি সামলানো সহজ হবে।
5. মসলিন শাড়ির ফোলাভাব কমাতে কুঁচি করার পর আয়রন করে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে হেয়ার স্ট্রেটনার দিয়ে সহজেই করা যাবে এই কাজটি। তবে স্ট্রেইটনার কতখানি গরম সেটা খেয়াল করে নিতে হবে এবং সতর্কতার সাথে আয়রন করতে হবে, যেন শাড়ি পুড়ে না যায়।
6. শুধু মসলিন নয় যে কোনো শাড়ি সুন্দর করে পরার জন্য বেছে নিতে হবে সিল্কের পেটিকোট।
7. মসলিনের শাড়ি তার বিশেষ তন্তুর জন্য পাতলা হয়ে থাকে। এর জন্য অস্বস্তি বোধ করলে লম্বা ব্লাউজ পরতে হবে।